কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মাউশি অধিদপ্তর।

কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ১৮/০৩/২০২০ খ্রি. থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মাউশি অধিপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ নির্দেশ দেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নোটিশ
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল মাধ্যমিক, স্কুল ও কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরযুক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলােকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করার জন্য সংযুক্ত সংশােধিত গাইড লাইন প্রদান করা হলাে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর নির্দেশ মাউশি অধিদপ্তরেরঃ
বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সংযুক্ত সংশােধিত ‘গাইড লাইন’ এর নির্দেশনা ছাড়াও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিম্নোক্ত কার্যক্রমসমূহ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রি. মধ্যে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য দেশের সকল মাধ্যমিক, স্কুল ও কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরযুক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ সাস্থ্য-বিধি মেনে চালু করার জন্য অনুরােধ করা হলাে।
জরুরী নির্দেশনাঃ
কার্যক্রমসমূহ:
ব্যানার প্রদর্শন:

১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ মুখসহ অন্যান্য স্থানে কোভিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোন উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র:

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সকল শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।
ভিড় মুক্ত প্রবেশ পথ:

৩. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানাের জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলাে প্রবেশমুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা।
ভিড় মুক্ত প্রবেশ পথ তৈরি:

৪. যদি কেবল একটি প্রবেশমুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশমুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা।
৫. প্রতিষ্ঠান খােলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানাের ব্যবস্থা করা।
স্বাস্থ্যবিধি সকল শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়া:

৬. প্রতিষ্ঠান খােলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা।
ভিডিও প্রদর্শনের ব্যবস্থা:

৭. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত এতদসংক্রান্ত ভিডিও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
চিকিৎসার ব্যবস্থা:

৮. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসােলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ:

৯. প্রতিষ্ঠানের সকল ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।
১০. প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা।
১১. প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবক প্রবেশের সময় সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।
মাস্ক ব্যবহার:

১২. প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঠিকভাবে মাস্ক (সম্ভব হলে কাপড়ের মাস্ক) পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
হ্যান্ডওয়াশ/সেনিটাইজার ব্যবহার:

১৩. প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধােয়ার এমন ব্যবস্থা করা যাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢােকার আগে সবাই সাবান দিয়ে হাত ধুতে পারে।
তিন ফুট দুরত্ব:

১৪. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পারিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।
১৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।
১৬. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরুপণ করা; প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।
কমিটি গঠন:
১৭. কোডিভ-১৯ অতিমারিজনিত সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথবাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা।
১৮. প্রয়ােজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা।
১৯. প্রতিষ্ঠানের প্রয়ােজনীয় অবকাঠামােগত মেরামত, বৈদ্যুতিক মেরামত এবং পানি সংযােগজনিত মেরামত সম্পন্ন করা।
২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
Leave a comment